আমাদের প্রতিশ্রুতি:
✅ বৈদিক পাঠশালা দ্বারা প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ পুরোহিত।
✅ সমস্ত রীতিনীতি বৈদিক বিধান ও প্রক্রিয়া অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়।
✅ সময়নিষ্ঠতা ও শুদ্ধতার নিশ্চয়তা।
✅ পেশাদারী পরামর্শ ও সম্পূর্ণ সহায়তা।
অন্নপ্রাশন হলো সেই শুভ অনুষ্ঠান, যেখানে শিশুকে প্রথমবারের মতো কঠিন খাবার, বিশেষ করে মিষ্টি বা দুধ-ভাত খাওয়ানো হয়। এই পূজা শিশুর সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধশালী জীবনের আশীর্বাদ প্রাপ্তির জন্য সম্পন্ন করা হয়। ????✨
বিবাহ এর জন্য পুরোহিত , বিভিন্ন ধরনের পুজোর পাশাপাশি যোটক
বিচার ও বিবাহের সম্পূর্ণ পৌরহিত্য কর্ম।
আমাদের প্রতিশ্রুতি :
অনটাইম পরিষেবা।
প্রত্যয়িত ও যাচাইকৃত পন্ডিত।
প্রতিটি পদক্ষেপে স্বচ্ছতা
রুদ্রাভিষেক শুরু হয় শুদ্ধিকরণ এবং সংকল্পের মাধ্যমে। বৈদিক মন্ত্র জপের মধ্য দিয়ে শিবলিঙ্গে পঞ্চামৃত নিবেদন করা হয়। এরপর, আখের রস, গঙ্গাজল, চন্দন, ধতুরা এবং ভাঙের মতো বিশেষ উপাদান দিয়ে ভগবান শিবকে অভিষেক করা হয়। এই সময়, 'ওঁ নমঃ শিবায়' এবং 'রুদ্রাষ্টাধ্যায়ী' জপ করা হয়, যা পূজাকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ করে তোলে।
কালী পূজা মূলত অশুভ শক্তি বিনাশ, বাধা দূর করা এবং জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে করা হয়। দেবী কালী হলেন শক্তি ও রক্ষার দেবী, যিনি অসুরদের সংহার করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বাস করা হয় যে, তাঁর পূজার মাধ্যমে ভক্তরা ভয়, দুঃখ ও সকল নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্তি পান। এছাড়া, দেবী কালী জীবনের অজ্ঞতা ও অহংকার দূর করে জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক শক্তি প্রদান করেন। এই কারণে কালী পূজা ভক্তদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে
দুর্গা পূজা মূলত অশুভ শক্তির বিনাশ, কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য করা হয়। দেবী দুর্গা মহিষাসুর নামে এক দানবকে পরাজিত করে ধর্ম ও সত্যের জয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে তাঁর পূজার মাধ্যমে তারা শক্তি, সাহস ও আশীর্বাদ লাভ করেন। দুর্গা পূজা জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে সাহায্য করে এবং অজ্ঞতা ও অহংকার দূর করে জ্ঞান ও ভক্তি বৃদ্ধি করে। তাই এই পূজা হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষভাবে উদযাপিত হয়
গোপাল পূজা (বাল গোপাল বা শ্রীকৃষ্ণের শৈশব রূপ) এবং অভিষেক এক গভীর ভক্তিপূর্ণ পূজা,যা শান্তি, সৌভাগ্য,সন্তানের মঙ্গল ও পারিবারিক সমৃদ্ধির জন্য করা হয়। জন্মাষ্টমী,সন্তানের জন্মদিন বা বিশেষ পারিবারিক পূণ্যের জন্য এই পূজা অত্যন্ত শুভ।
সরস্বতী দেবী হলেন বিদ্যা, জ্ঞান, সঙ্গীত, শিল্প ও সৃজনশীলতার দেবী। এই পূজা বিশেষভাবে করা হয় শিক্ষার্থীদের, শিল্পীদের, লেখক এবং সৃজনশীল পেশাজীবীদের মঙ্গল, বিদ্যাবুদ্ধি ও প্রেরণার জন্য।
সরস্বতী পূজা (বসন্ত পঞ্চমী) বা কোনও পরীক্ষার পূর্বে, নতুন শিক্ষাগত যাত্রা শুরুর আগে এই পূজা অত্যন্ত ফলদায়ী।
মা লক্ষ্মী ধন, সম্পদ, সৌভাগ্য ও শুদ্ধতার দেবী। লক্ষ্মী পূজা করা হয় পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্থিতি, ব্যবসার উন্নতি ও মনের শান্তির জন্য।
লক্ষ্মী পূজার বিশেষ দিন হলো কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা ও দীপাবলির দিন। এছাড়া, নতুন দোকান বা ব্যবসা শুরু, নতুন বাড়ি প্রবেশ, বা মাসিক পূজা হিসেবেও এটি করা যায়।
জগদ্ধাত্রী দেবী হলেন শক্তির প্রতীক, দুর্গার এক শুভ ও শান্ত রূপ। তাঁর পূজা আত্মশুদ্ধি, সংকল্প, আত্মবিশ্বাস এবং জীবনে শৃঙ্খলা ও সাফল্য আনার জন্য করা হয়। এই পূজা কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমীতে (দুর্গাপূজার পরে) বিশেষভাবে পালন করা হয়।
ভগবান কার্তিক (কার্তিকেয়, মুরুগন, বা স্কন্দ) হলেন শক্তি, বিজয়, সৌন্দর্য ও ধর্মের প্রতীক। তিনি দেবতা শিব ও পার্বতীর পুত্র এবং বিশেষ করে তরুণদের, যোদ্ধাদের, শিল্পীদের ও ভক্তদের পূজ্য। কার্তিক পূজা বিশেষভাবে পালিত হয় কার্তিক মাসে, কার্তিক চতুর্দশী বা কার্তিকী পূর্ণিমায়।
ভগবান শিব তপস্যা, শক্তি, ধৈর্য, ক্ষমা ও ধ্বংসের মাধ্যমে নতুন সৃষ্টির দেবতা। শিব পূজা মানসিক শান্তি, আরোগ্য, পরিবারে কল্যাণ এবং কর্মে উন্নতির জন্য অত্যন্ত ফলদায়ী।
এই পূজা সপ্তাহে সোমবার, বিশেষ করে শিবরাত্রি, শ্রাবণ মাস, গৃহশান্তি বা কঠিন সময় থেকে মুক্তি পেতে করা হয়।
বিশ্বকর্মা দেবতা হলেন সৃষ্টিকর্তা, স্থপতি ও প্রযুক্তির দেবতা। তিনি সকল কারিগর, শিল্পী, ইঞ্জিনিয়ার, কারখানা-মালিক, মিস্ত্রি ও টেকনিশিয়ানদের অধিদেবতা।
বিশ্বকর্মা পূজা বিশেষভাবে বিশ্বকর্মা পূজা দিবস বা ব্যবসা/কারখানার সূচনা উপলক্ষে করা হয় কর্মের সফলতা, যন্ত্রপাতির সুরক্ষা এবং উন্নতির জন্য।
ভাগবত পাঠ, রামায়ন পাঠ, নাম সংকীর্ত্তন।